বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদনে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা
- By Jamini Roy --
- 18 November, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো সম্ভব। মার্কিন দুই কর্মকর্তা ও একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, ইউক্রেন এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে শিগগিরই হামলা চালাতে পারে। তবে নিরাপত্তার কারণে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে "এটিএসিএমএস" ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। রোববার এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, "এ ধরনের অভিযান আগে ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় না। প্রয়োজন হলে ক্ষেপণাস্ত্রই কথা বলে।"
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। ট্রাম্প ইউক্রেনকে অতিরিক্ত অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহের কড়া সমালোচক। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ঘোষণা দিলেও, কীভাবে তা করবেন, তা স্পষ্ট করেননি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অর্থ হবে ন্যাটোর সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। এদিকে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছে।
বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কিয়েভকে কৌশলগত সুবিধা দিতে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, দূরপাল্লার হামলা যুদ্ধের গতিপথ দ্রুত বদলে দিতে পারে, কিন্তু তা নতুন সংকটও সৃষ্টি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া "এটিএসিএমএস" ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে রুশ সেনাদের দখলে থাকা এলাকা পুনরুদ্ধার ও রাশিয়ার গভীরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর সুযোগ দেবে। এটি ইউক্রেনকে ভবিষ্যৎ আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে রাখতে পারে।
কিছু রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য বাইডেনকে ইউক্রেনের ওপর আরোপিত অস্ত্র ব্যবহারের সীমারেখা সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি কিয়েভকে আরও কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি নিয়ে রাশিয়া বড় ধরনের উসকানি হিসেবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে এই নীতিতে পরিবর্তন আসবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বাইডেনের সিদ্ধান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।